হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা
Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion : নমস্কার, বন্ধুরা আজকের আলোচ্য বিষয় হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion নিচে দেওয়া হলো। এই হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা – Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion থেকে MCQ, SAQ, Description Question and Answer, Suggestion, Notes গুলি আগামী মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট।
আপনার যারা হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা – West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়তে পারেন।
BOARD | WBBSE |
CLASS | Madhyamik |
SUBJECT | Madhyamik Bengali |
CHAPTER | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) |
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion
MCQ : হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam [প্রশ্নমান – ১]
১. একজন বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রাহকের নাম –
(ক) অবন ঠাকুর ,
(খ) সুভো ঠাকুর ,
(গ) গুনু ঠাকুর ,
(ঘ) রবি ঠাকুর ।
উত্তরঃ (খ) সুভো ঠাকুর
২. যারা ওস্তাদ কলমবাজ তাদের বলা হয় –
(ক) টেলিগ্রাফিস্ট ,
(খ) ক্যালিগ্রাফিস্ট ,
(গ) পলিগ্রাফিস্ট ,
(ঘ) কালিগ্রাফিস্ট ।
উত্তরঃ (খ) ক্যালিগ্রাফিস্ট
৩. চারখন্ড রামায়ণ কপি করে একজন লেখক অষ্টাদশ শতকে কত টাকা পেয়েছিলেন ?
(ক) সাত টাকা ,
(খ) আট টাকা ,
(গ) ন – টাকা ,
(ঘ) দশ টাকা ।
উত্তরঃ (ক) সাত টাকা
৪. ‘ অনেক ধরে ধরে টাইপ রাইটারে লিখে গেছেন মাত্র একজন । ‘ তিনি হলেন-
(ক) সত্যজিৎ রায় ,
(খ) অন্নদাশঙ্কর রায় ,
(গ) রাজশেখর বসু ,
(ঘ) সুবোধ ঘোষ ।
উত্তরঃ (খ) অন্নদাশঙ্কর রায়
৫. ‘ কঙ্কাবতী ‘ ও ‘ ডমরুধর ‘ – এর লেখক –
(ক) মধুসুদন দত্ত ,
(খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ,
(গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ,
(ঘ) শিবরাম চক্রবর্তী ।
উত্তরঃ (গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
৬. নিজের হাতের কলমের আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল যে লেখকের , তার নাম –
(ক) বনফুল ,
(খ) পরশুরাম ,
(গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ,
(ঘ) শৈলজানন্দ ।
উত্তরঃ (গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
৭. কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন –
(ক) কবি ,
(খ) প্রাবন্ধিক ,
(গ) নাট্যকার ,
(ঘ) দার্শনিক ।
উত্তরঃ (ঘ) দার্শনিক
৮. ” লেখার পাত ” বলতে বোঝানো হয়ে থাকে
(ক) লেখার কাগজকে ,
(খ) তালপাতাকে ,
(গ) কলাপাতাকে ,
(ঘ) শালপাতাকে ।
উত্তরঃ (গ) কলাপাতাকে
৯. লেখক যে অফিসে কাজ করতেন-
(ক) সরকারি অফিস ,
(খ) লেখালেখির অফিস
(গ) সওদাগরি অফিস ,
(ঘ) বেসরকারি অফিস ।
উত্তরঃ (খ) লেখালেখির অফিস
১০. যার পোশাকি নাম ‘ স্টাইলাস ‘ – কার পোশাকি নাম ?
(ক) কুইল ,
(খ) নলখাগড়া ,
(গ) খাগের কলম ,
(খ) ব্রোঞ্জের শলাকা ।
উত্তরঃ (খ) ব্রোঞ্জের শলাকা
১১. শ্রীপান্থ ‘ ছদ্মনামে লিখেছেন –
(ক) অন্নদাশঙ্কর রায় ,
(খ) বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ,
(গ) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ,
(ঘ) নিখিল সরকার
উত্তরঃ (ঘ) নিখিল সরকার
১২. চিনারা চিরকালই লেখার জন্য ব্যবহার করে আসছে
(ক) তুলি ,
(খ) ব্রোঞ্জের শলাকা ,
(গ) হাড় ,
(ঘ) নল – খাগড়া ।
উত্তরঃ (ক) তুলি
১৩. ত্রিফলা বলতে যে তিনটি ফলকে বোঝায় সেগুলি হল –
(ক) হরীতকী , জায়ফল , এলাচ ,
(খ) হরীতকী , সুপারি , আমলকী ,
(গ) আমলকী , হরীতকী , বহেড়া ,
(ঘ) সুপারি , হরীতকী , বহেড়া ।
উত্তরঃ (গ) আমলকী , হরীতকী , বহেড়া
১৪. ” কালি কলম মন , লেখে তিন জন । এটি হল একটি
(ক) ধাঁধা ,
(খ) প্রবাদ ,
(গ) রূপকথা ,
(ঘ) উপকথা
উত্তরঃ (খ) প্রবাদ
১৫. ‘ সিজার যে কলমটি দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন – তার পোশাকি নাম
(ক) রিজার্ভার ,
(খ) স্টাইলাস ,
(গ) পার্কার ,
(ঘ) পাইলট ।
উত্তরঃ (খ) স্টাইলাস
১৬. বাংলা প্রবাদটি হল , ‘ কালি নেই কলম নেই , বলে আমি –
(ক) মুনশি ,
(খ) কলমটি ,
(গ) লেখক ,
(ঘ) কবি ।
উত্তরঃ (ক) মুনশি
১৭ ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ কথাটি বলতেন –
(ক) ওয়াটারম্যান ,
(খ) লর্ড কার্জন ,
(গ) উইলিয়াম জোন্স ,
(ঘ) উইলিয়াম হেস্টিংস ।
উত্তরঃ (খ) লর্ড কার্জন
১৮. কেরি সাহেবের মুনশি নামে কোন ব্যক্তি খ্যাত ছিলেন ?
(ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ,
(খ) চন্ডীচরণ মুনশি ,
(গ) রামরাম বসু
(ঘ) গোলকনাথ শর্মা ।
উত্তরঃ (গ) রামরাম বসু
১৯. একসময় বলা হত ” কলমে কায়স্থ চিনি , গোঁফেতে
(ক) রাখাল ,
(খ) গোপাল ,
(গ) রাজপুত ,
(ঘ) ডাকাত ।
উত্তরঃ (গ) রাজপুত
২০. কালির অক্ষর নাইকো পেটে , চণ্ডী পড়েন –
(ক) বাবুঘাটে ,
(খ) কালীঘাটে ,
(গ) গঙ্গাঘাটে ,
(ঘ) খেয়াঘাটে ।
উত্তরঃ (খ) কালীঘাটে
২১. উন্নতমানের ফাউন্টেন পেনের নির্মাতা ছিলেন-
(ক) জন স্টিফেনসন ,
(খ) অ্যান্ডারসন ,
(গ) ওয়াটারম্যান ,
(ঘ) লুইস ওয়াল্টার ।
উত্তরঃ (গ) ওয়াটারম্যান
২১. লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান ‘ নামটি কোটার সঙ্গে যুক্ত ? –
(ক) কম্পিউটার ,
(খ) পুস্তক ,
(গ) অভিধান ,
(ঘ) ফাউন্টেন পেন
উত্তরঃ (ঘ) ফাউন্টেন পেন
২২. ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করতেন –
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,
(খ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ,
(গ) জীবনানন্দ দাশ ,
(ঘ) সত্যজিৎ রায় ।
উত্তরঃ (খ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
২৩. আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল-
(ক) রিজার্ভার পেন ,
(খ) ঝরনা কলম ,
(গ) কুইল ,
(ঘ) বলপেন ।
উত্তরঃ (ক) রিজার্ভার পেন
SAQ : হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam [প্রশ্নমান – ১]
১. ক্যালিগ্রাফিস্ট কাদের বলে ?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে মধ্যযুগে এবং তার পরবর্তীকালে যাঁরা ছিলেন ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপিকুশলী , যে সমস্ত লিপিকরদের লেখা পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় , তাদের বলা হত ক্যালিগ্রাফিস্ট ।
২. ‘ বাংলায় একটা কথা চালু ছিল— কথাটি কী ? উত্তরঃ পাঠ্য রচনা অনুসারে চাল কথাটি হল , ‘ কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি । ‘
৩. কোন্ প্রধান কবি বা লেখক টাইপরাইটারে লিখতেন?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে অন্নদাশঙ্কর রায় টাইপরাইটারে লিখতেন ।
৪. ‘ রিজার্ভার পেন ‘ কী ?
উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল ‘ রিজার্ভার পেন ‘ । লুই ওয়াটারম্যান তাকেই অনেক উন্নত করে ফাউন্টেন পেন তৈরি করেন।
৬. ‘ না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত – কী না দেখলে বিশ্বাস কী করা শক্ত ?
উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনার লেখক শ্রীপান্থর মতে কাচ , কার্টগ্লাস থেকে ভেড়ার শিং কিংবা সোনা ; দোয়াত যে কত রকমের হয় তা না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত ।
৭. ‘ লাল নীল দু – রকম বড়িই পাওয়া যেত।— কী কাজে লাগত ?
উত্তরঃ লেখকেরা কাচের দোয়াতে এই লাল কিংবা নীল কালি ট্যাবলেট বা বড়িগুলি দিয়ে কালি তৈরি করতেন ।
৮. ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ – এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির কত দাম ?
উত্তরঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থের ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনা অনুসারে সবচেয়ে দামি কলমটির দাম ধার্য হয়েছিল আড়াই হাজার পাউন্ড । এখনকার বাজারদরে এক পাউন্ড সমান পঁচাত্তর টাকা হিসেবে ভারতীয় মুদ্রায় এক লক্ষ সাতাশি হাজার পাঁচশো টাকা।
৯. কালিকে দীর্ঘস্থায়ী করার পদ্ধতটি কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে পাথরের বাটিতে রাখা ভুষো কালি গোলা কালো জলে হরীতকী ঘষে কিংবা আতপ চাল ভেজে পুড়িয়ে তা বেটে মিশিয়ে কালিকে দীর্ঘস্থায়ী করা হত ।
১০. হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম কী ?
উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম নিখিল সরকার ।
১১. … লেখে তিনজন ।’- এই তিনজন কে কে ?
উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে বর্ণিত বাংলা প্রবাদে এই তিনজন হল— কালি , কলম আর মন ।
১২. লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ যেখানে কাজ করেন , সেটা লেখালেখির অফিস ।
১৩. কালগুণে বুঝি বা আজ আমরাও তা – ই’- বক্তব্যটি পরিস্ফুট করো ।
উত্তরঃ লেখকের লেখালেখির অফিস , অথচ কলম নেই । তাই কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি প্রবাদটির মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন আমরাও যেন তা অনুসরণ করছি ।
১৪. আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যেতাম স্কুলে । সেগুলি বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ লেখকরা ছোটোবেলায় কলাপাতাকে কাগজের মতো করে কেটে তাতে স্কুলের কাজ করতেন । মাস্টারমশাইকে দেখানোর জন্য সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ।
১৫. কুইল কী ?
উত্তরঃ পালকের কলমের ইংরেজি নাম ‘ কুইল । কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে নাম দেন ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ‘ ।
১৬. ‘ যন্ত্রটা এক ধরনের পেনসিল সার্পনারের মতো । – কোন্ যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ : – পালককে কেটে কলম বানানোর জন্য সাহেবরা একটা ছোটো যন্ত্র বের করেছিলেন । যার মধ্যে পালক ঢুকিয়ে চাপ দিলেই তৈরি হয়ে যেত কলম , সেই কথাই বলা হয়েছে ।
১৭. ‘ কলম তাদের কাছে অস্পৃশ্য।- কেন ?
উত্তরঃ বর্তমানে ডট পেন বা বল – পেনের রমরমার যুগে কলম অত্যন্ত সস্তা ও সর্বভোগ্য হয়ে পড়েছে । পকেটমারদের কাছে তাই হাতসাফাইয়ের বস্তু হিসেবে কলম অস্পৃশ্য ।
১৮. জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।- ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি উল্লেখ করো ।
উত্তরঃ লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান একবার এক চুক্তিপত্র সই বি করার সময় দোয়াত উলটে যাওয়ায় চুক্তি বাতিল হয়ে যায় । এরই বি বিহিত করতে তিনি ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেন ।
১৯. লেখক হাই স্কুলে পড়ার সময় কী ধরনের কালি ব্যবহার করতেন ?
উত্তরঃ হাই স্কুলে পড়ার সময় লেখক লাল , নীল কালির ট্যাবলেট দিয়ে কালি বানাতেন । এ ছাড়া দোয়াতে আর বোতলে তৈরি কালিও পাওয়া যেত ।
২০. সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু । কোন্ আঘাতের পরিণতির কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যে ‘ কঙ্কাবতী ‘ ও ‘ ডমরুধর ‘ – এর স্রষ্টা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের হাতের কলম অসাবধানতাবশত বুকে বিঁধে মারা যান । সেই ঘটনার কথা বলা হয়েছে ।
২১. ‘ দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে— প্রবন্ধে কত রকমের দোয়াতের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া কালি কমল ‘ প্রবন্ধে লেখক মাটির , কাচের , কাট গ্লাসের , পোর্সেলিনের শ্বেতপাথরের , জেডের , পিতলের , ব্রোঞ্জের ভেড়ার শিংয়ের ও সোনার তৈরি দোয়াতের কথা বলেছেন । ২২. লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কীসে …. হোম টাস্ক কিসে করতেন ?
উত্তরঃ লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কলাপাতা কেটে কাগজের করতেন মতো সাইজ করে নিয়ে তাতে ‘ হোম – টাস্ক করতেন ।
২৩. ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে ?
উত্তরঃ ‘ ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক হলেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান ।
২৪. লেখক ছোটোবেলায় কেমন করে কলম তৈরি করতেন ?
উত্তরঃ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধ অনুসারে লেখকেরা রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি করতেন । আর কলম শুধু ছুঁচোলো হলেই হত না , তার মুখটাও চিরে দিতে হত ।
২৫. যার পোশাকি নাম স্টাইলাস ‘ ‘ স্টাইলাস ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার যে – ব্রোঞ্জের শলাকা বা কলম ব্যবহার করতেন , তার পোশাকি নাম ছিল ‘ স্টাইলাস ‘ ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam [প্রশ্নমান – ৫]
১. ‘ আশ্চর্য , সবই আজ অবলুপ্তির পথে । কোন্ জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে ? এই অবলুপ্তির কারণ কী ? এ বিষয়ে লেখকের মতামত কী ?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ রচনায় লেখক শ্রীপান্থ , ন দিতে আধুনিকতার কালপ্রবাহে ক্রমশ অবলুপ্ত হতে চলা কলমের কথা উপরিউক্ত উদ্ধৃতাংশে বলতে চেয়েছেন । নবীন বল – পেন দোয়াত , কালি , নিবের কলমের স্থান দখল করেছে অনেক আগেই । বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতির সোপান ধরে কম্পিউটারের কল্যাণে হিয়ের লিখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন ।
কালপ্রবাহে কলমের অবলুপ্তিতে লেখক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন , আশ্চর্য হয়েছেন । কলম ছাড়া লেখালেখির কথা কিছুকাল আগেও মানুষ ভাবতে এছেন । পারেনি । কলম আর লেখকের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য আলাদা করার কথা মানুষের মনেও আসত না । কম্পিউটারের কল্যাণে কলমের অবলুপ্তিতে লেখক বিপন্ন বোধ করছেন । তিনি মনে করছেন , কম্পিউটার যেন তাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে নাটাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে । বাঁশের কলম , খাগের কলম ছেড়ে বল – পেনে দকের আত্মসমর্পণ করেও লেখক আজ বিপন্ন বোধ করেছেন । যদি হাতের লেখা মুছে যায় চিরকালের জন্য- এই হতাশাব্যঞ্জক চিন্তায় তিনি বিচলিত হয়ে কের উঠেছেন । কম্পিউটারের বিশ্বব্যাপী প্রভাবে সর্বপ্রকার কলমের অবলুপ্তির কেটে কথা ভেবেই লেখক একইসঙ্গে আশ্চর্য ও আতঙ্কিত হয়েছেন ।
২. পণ্ডিতরা বলেন কলমের দুনিয়ায় যা সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায় তা ফাউন্টেন পেন।— ফাউন্টেন পেন কলমের দুনিয়ায় কীভাবে বিপ্লব ঘটিয়েছিল লেখো ।
উত্তরঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে কলমের প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক যুগে বিবর্তনের কথা বলেছেন । উদ্ধৃত অংশে প্রাবন্ধিক মূলত ফাউন্টেন পেনের বহুল কার্যকারিতা প্রসঙ্গেই বলতে কলমের দুনিয়ায় ফাউন্টেন পেনের বিপ্লব চেয়েছেন । লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করার পরে কলমের দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটান । লেখার প্রয়োজনে সঙ্গে বহন করে নিয়ে চলা কালির দোয়াত , কলম প্রভৃতির প্রয়োজন ফুরোয় । আগের মতো আর দোয়াতের কালিতে বারবার কলম ডুবিয়ে লেখার সমস্যা থাকে না । এরপর দামি থেকে সস্তা ফাউন্টেন পেনের অজস্র সংস্করণ ব্যবহারকারীকে ক্রমশ নেশাগ্রস্ত করে তোলে । রকমারি চেহারার সস্তা দামি ফাউন্টেন পেন দোয়াত – কলমকে বাজার থেকে সরে যেতে বাধ্য করে । পুরোনো দিনের কলমের স্মৃতি হিসেবে দোয়াত – কলম , খাগের কলম , বাঁশ বা কঞ্চির কলম , ব্রোঞ্জের শলাকা হয়ে ওঠে ঘর সাজানোর উপকরণ । পাইলট , শেফার্ড , পার্কার , ওয়াটারম্যান , সোয়ান প্রভৃতি পেনগুলির নিব ও গঠন ছিল আকর্ষণীয় । শৌখিন ব্যক্তিদের পকেটে যেমন স্থান করে নিয়েছিল দামি । ফাউন্টেন পেন , তেমনি পড়ুয়ার পকেটেও স্থান করে নেয় । একদিকে লেখার কাজ যেমন সহজসাধ্য হয়ে ওঠে , অন্যদিকে উপকরণের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয় ।
৩. ‘ ফাউন্টেন পেন ‘ বাংলায় কী নামে পরিচিত ? নামটি = কার দেওয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে ? ফাউন্টেন পেনের জন্ম ইতিহাস লেখো ।
উত্তরঃ : – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘ প্রবন্ধে বর্ণিত ফাউন্টেন পেন বাংলায় ঝরনা কলম হিসেবে পরিচিত । পৃথিবীর প্রতিটি আবিষ্কারের পিছনেই থাকে নানান গল্প বা ঘটনা । তবে গল্প বা ঘটনা যাই থাক – না – কেন প্রয়োজনের তাগিদেই যে আবিষ্কার কথা সকলেই মানতে বাধ্য । লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানের ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের পিছনেও এমনই একটি বৃত্তান্ত রয়েছে । তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী । সেকালের অন্য ব্যবসায়ীদের মতো তিনিও দোয়াত – কলম নিয়ে কাজে বের হতেন । একবার তিনি এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে গিয়েছিলেন । দলিল কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় দোয়াত হঠাৎ –ও উপুড় হয়ে পড়ে গেল কাগজে । আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে । ন ; ফিরে এসে তিনি শোনেন , ইতিমধ্যে আর একজন ব্যবসায়ী সইসাবুদ করে ন । চুক্তি পাকা করে ফেলেছেন । এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমর্ষ ওয়াটারম্যান সম প্রতিজ্ঞা করেন যে , এর একটা বিহিত তাঁকে করতেই হবে । এরপরেই তাঁর বে নিরলস প্রচেষ্টায় জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন ।
৪. ‘ তার নাম — লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান । – লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান কে ? কলমের দুনিয়ায় তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
উত্তরঃ শ্রীপান্থ রচিত ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানের যে পরিচয় পাই , তাতে তিনি হলেন একজন ব্যবসায়ী এবং ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কর্তা । সেকালে আরও অনেক ব্যবসায়ীদের মতো তিনিও দোয়াত – কলম নিয়ে কাজে বের হতেন । একবার গিয়েছেন আর একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে । দলিল কিছুটা লেখা হওয়ার পর হঠাৎ কালির দোয়াত উপুড় হয়ে পড়ে গেল কাগজে । কালি পড়ে নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি চুক্তিপত্রের কাগজও নষ্ট হয়ে যায় । কালির সন্ধানে যখন তিনি ছুটলেন , ফিরে এসে শোনেন একজন তৎপর ব্যবসায়ী সইসাবুদ সাঙ্গ করে চুক্তিপত্র ইস পাকা করে ইতিমধ্যেই চলে গেছেন । বিমর্ষ ওয়াটারম্যান প্রতিজ্ঞা করেন , এর বিহিত তিনি করবেন । আর তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন ফাউন্টেন পেন । এই ফাউন্টেন আবিষ্কার কলমের দুনিয়ায় বিপ্লব এনে দেয় । দোয়াত – কলম সঙ্গে নিয়ে গিয়ে কাজ করার দিন শেষ হয় । আগে এই কলম ছিল রিজার্ভার পেন । ওয়াটারম্যান তাকে আরও উন্নত করে তৈরি করলেন ফাউন্টেন পেন । ক্রমেই ঘটতে থাকল তার নিব ও গঠনের নানান বৈচিত্র্য । প্রাবন্ধিক একটি বিজ্ঞাপনে দেখেছিলেন পেনের সাতশোরকম নিবের কথা । পার্কার , শেফার্ড , সোয়ান প্রভৃতিতে ফাউন্টেন পেন লেখকদের লেখার নেশাকে আরও বাড়িয়ে দিল । ওয়াটারম্যান তাঁর আবিষ্কারের পর সত্যিই যেন ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন।
৫. ‘ আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই । —কালি প্রশ্ন তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে যা জান লেখো ।
উত্তরঃ কালি – কলমের অতীত সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক শ্রীপান্থ বাঁশের কঞ্চির কলম তৈরির কথা বলেছেন । একইসঙ্গে সেই ধরনে কঞ্চির কলম যে – কালিতে ডুবিয়ে লেখা হত সেই কালি কীভাবে তৈরি কঞ্চি করা হত তাও বলেছেন । লেখকরা নিজেরা এই নলখ নিতেন । প্রবন্ধে লেখক কালি তৈরির যে দু – রকম পদ্ধতির কথা বলেছেন , তার মধ্যে প্রথমটি আয়োজন – নির্ভর ; সেইসব উপকরণ লেখকদের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন ছিল । প্রাচীন এই পদ্ধতিতে মুখ , তিল , ত্রিফলা ( হরীতকী , বহেড়া , আমলকী ) লোহার পাত্রে ছাগলের দুধে ও ভিজিয়ে রাখতে হত । তারপর একটি লোহার দণ্ড দিয়ে সেটি ভালো করে বি ঘষে নিতে হত । এই কালি এতটাই টেকসই হত যে , লেখার পাতা ছিঁড়লেও কালি উঠত না । লেখকদের কালি তৈরির পদ্ধতিটি ছিল বেশ সহজ । বাড়িতে কাঠের প্রা উনুনে যে – কড়াইয়ে রান্না হত তার তলায় কালি জমত ; সেই কালি লাউপাতা { যা দিয়ে ঘষে তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে নেওয়া হত । কেউ কেউ এর মধ্যে হরীতকী ঘষতেন ও পোড়া আতপচাল গুঁড়িয়ে মেশাতেন । কালি তৈরি করতেন সবশেষে খুন্তিকে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত । ঠান্ডা হলে ন্যাকড়ায় ছেঁকে দোয়াতে ভরে নেওয়া হত ঘরে তৈরি এই কালি ।
৬. ‘ জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন । — ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা কে ? বাংলায় কে এই পেনের নামকরণ করেছিলেন ? ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি সংক্ষেপে লেখো ।
Ans: উদ্ধৃতাংশটি লেখক শ্রীপান্থের ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত । প্রবন্ধে ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা বলা হয়েছে লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানকে । বাংলায় এই পেনের নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ । তিনি এই পেনের নাম দেন ঝরনা কলম ।
পৃথিবীর প্রতিটি আবিষ্কারের পিছনেই থাকে নানান গল্প বা ঘটনা । তবে গল্প বা ঘটনা যাই থাক না কেন প্রয়োজনের তাগিদেই যে আবিষ্কার এ কথা সকলেই মানতে বাধ্য । লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যানের ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের পিছনেও এমনই একটি বৃত্তান্ত রয়েছে । তিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী । সেকালের অন্য ব্যবসায়ীদের মতো তিনিও দোয়াত – কলম নিয়ে কাজে বের হতেন । একবার তিনি এক ব্যবসায়ীর ফাউন্টেন পেনের সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে গিয়েছিলেন । দলিল জন্মবৃত্তান্ত কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় দোয়াত হঠাৎ উপুড় হয়ে পড়ে গেল কাগজে । আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে । ফিরে এসে তিনি শোনেন , ইতিমধ্যে আর একজন ব্যবসায়ী সইসাবুদ করে চুক্তি পাকা করে ফেলেছেন । এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিমর্ষ ওয়াটারম্যান প্রতিজ্ঞা করেন যে , এর একটা বিহিত তাঁকে করতেই হবে । এরপরেই তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন ।
৭. কলমকে বলা হয় তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর । – বিষয়টি ব্যাখ্যা করো ?
উত্তরঃ শ্রীপান্থ লিখিত ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি একটি প্রবাদপ্রতিম বাক্য । প্রাবন্ধিক ঈষৎ ঠাট্টার ছলে এটিকে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করেছেন । তলোয়ারের চেয়ে বন্দুকের শক্তি বেশি । তাই ফাউন্টেন পেন যেন আভাসে ইঙ্গিতে সে – কথাই বলতে চায় । কারণ ফাউন্টেন পেনের বিভিন্ন অংশগুলিকে ‘ ব্যারেল ‘ , ‘ কার্টিজ ‘ ইত্যাদি নামে ডাকা হয় । এই শব্দগুলির সঙ্গে গোলা – বন্দুকের যোগাযোগের কথা কে না জানে ! তবে বারুদের সঙ্গে কলমের কোনো সম্পর্ক নেই । ইতিহাসে এমন অনেক লেখকের উল্লেখ পাওয়া যায় , যাঁদের লেখনীর ধার , তলোয়ারের চেয়েও বেশি । আর সেই ক্ষুরধার কলমকে হাতিয়ার করে তাঁরা অনেক কুর মিথ্যেবাদী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছেন । এখানে কলমের শক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ হল , মানুষের লিখন – দক্ষতা বা লেখনীর ক্ষমতা । বন্দুক বা তলোয়ারের মতো অস্ত্র প্রয়োগ করে মানুষকে হত বা আহত করা যায় , কিন্তু মানুষের চিন্তাশক্তি তথা লেখনীর শক্তি শতসহস্র মানুষের ভাবনা , আদর্শ কিংবা দর্শনকে কেবল প্রভাবিতই করে না , সম্পূর্ণ বদলেও দিতে পারে । আর লেখার এই প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া যুগযুগান্তরব্যাপী স্থায়ী হয় । তাই কলমকে তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর বলে বিবেচনা করা হয় । বরং এক্ষেত্রে বলা চলে , কলমই সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র ।
৭. কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য কলম কাদের কাছে অস্পৃশ্য ? প্রবন্ধ অনুসারে অস্পৃশ্য হওয়ার কারণ লেখো।
উত্তরঃ শ্রীপান্থর ‘ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধ অনুসারে এখন পকেটমারেরাও আর কলম নিয়ে হাতসাফাইয়ের খেলা দেখায় না । সস্তা কলম আজ তাদের কাছেও নিতান্তই অস্পৃশ্য । লেখক পাঠ্য রচনায় কলমের সর্বজনীন হয়ে ওঠার বিবরণ দিয়েছেন । কঞ্ঝি , খাগ কিংবা পালকের কলমকে সরিয়ে ক্রমে ফাউন্টেন পেন সকলের মন জয় করে নেয় । এরপর ডট – পেন কিংবা বল – পেন আসার পরে দেখা দেয় কলমের বিস্ফোরণ । একসময় বলা হত , ‘ কলমে কায়স্থ চিনি , গোঁফেতে রাজপুত । ‘ কিন্তু বর্তমানে কলম বা গোঁফ কোনোটাই আর বিশেষ কারও নয় । এক বিদেশি সাংবাদিকের মতে চৌরঙ্গি অঞ্চলের প্রতি তিনজন ফেরিওয়ালার একজনের পেশা কলম বিক্রি । ফলে সবাই সাক্ষর না হলেও প্রত্যেকের পকেটে এখন কলম । অতিআধুনিক ছেলেদের কলম আবার বুক পকেটে নয় ; কাঁধের ছোট্ট পকেটে শোভা পায় । কেউ কেউ আবার তা চুলেও ধারণ করেন । ট্রামে – বাসে ভিড়ের পরিণামে মহিলাযাত্রীর খোঁপাতেও কলম আটকে যায় । অর্থাৎ কলম আজ অত্যন্ত সস্তা , সহজলভ্য এবং সর্বজনভোগ্য । তাই কলমের কোনো মূল্য বা দাম না – থাকায় পকেটমারেরাও আর কলমকে নিয়ে হাতসাফাইয়ের খেলা দেখায় না । কলমের অস্পৃশ্য হয়ে ওঠার এই কারণের কথাই লেখক বলেছেন ।
Madhyamik Suggestion | মাধ্যমিক সাজেশন
আরো পড়ুন:-
Madhyamik Bengali Suggestion Click here
আরো পড়ুন:-
Madhyamik English Suggestion Click here
আরো পড়ুন:-
Madhyamik Geography Suggestion Click here
আরো পড়ুন:-
Madhyamik History Suggestion Click here
আরো পড়ুন:-
Madhyamik Life Science Suggestion Click here
আরো পড়ুন:-
Madhyamik Mathematics Suggestion Click here
আরো পড়ুন:-
Madhyamik Physical Science Suggestion Click here
আরো পড়ুন:-
Madhyamik Suggestion Click here
West Bengal class 10th Bengali Board Exam details info
West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Madhyamik Exam Bengali Suggestion download for Bengali subject. West Bengal Board of Secondary Education will organise this Examination all over West Bengal. Students who are currently studying in Class 10th, will sit for their first Board Exam Madhyamik. WBBSE Madhyamik Bengali question paper download.
Madhyamik Bengali Syllabus
West Bengal Madhyamik Bengali Syllabus with all the important chapters and marks distribution. Download the Madhyamik Bengali Syllabus and Question Paper. Questions on the Bengali exam will come from these chapters. All the chapters are equally important, so read them carefully.
Madhyamik Bengali Syllabus Download Click Here
Madhyamik Bengali Question Paper Marks Details
The total marks for This Madhyamik Bengali Examination will be 100, out of which 90 marks for the written exam and 10 marks for viva voce. The question pattern and Marks distribution of the Madhyamik Bengali question paper are given below.
Madhyamik Question Pattern Mark Details Click Here
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion : হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Class 10 Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা
West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা : Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion Question and Answer | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal WBBSE Madhyamik Class 10 Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Question and Answer | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর
Madhyamik Bengali Question and Answer | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik Bengali Question and Answer | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – Madhyamik Bengali Question and Answer | হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর গুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion
এই “হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – প্রবন্ধ (শ্রীপান্থ) মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Hariye Jawa Kali Kolam Suggestion” পোস্টটি থেকে যদি আপনার লাভ হয় তাহলে আমাদের পরিশ্রম সফল হবে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী সমস্ত শ্রেণীর প্রতিটি অধ্যায় অনুশীলন, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার গাইডেন্স ও চারীর খবর বা শিক্ষামূলক খবর জানতে আমাদের এই Porasuna.in ওয়েবসাইটি দেখুন, ধন্যবাদ।